যেকোন বিশেষ দিনে, শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের বিশৃঙ্খলা-মারামারির ঘটনা নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের। দলটির নেতারা বলছেন, এখন থেকে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন চলছিল। ফুল দিতে এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঠেলাঠেলি। ভীড়ের মধ্যে নারী কর্মীদের অবস্থা দেখা গেল অনেকটা অসহায়। আরও নাজুক অবস্থা যুব মহিলা লীগের কর্মীদের। ভীড়ের চাপে ফুল দিতে সামনেই আসতে পারেননি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা যায় যুবলীগের ক্ষেত্রে। নেতাকর্মীরা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ালেন। শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সামনে এসে শ্রদ্ধা জানালেন। রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে টেলিভিশনের ক্যামেরায় চেহারা দেখাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। যা মাঝে মাঝে তৈরি করে অসুস্থ প্রতিযোগিতা।
কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ও কেউ সরতে চান না। এমনকি এমন ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় দাঁড়িয়ে থাকাই কষ্ট হয়ে যায়। এটা খুবই অশোভন বলেও মন্তব্য করেন উম্মে কুলসুম স্মৃতি। নারী রাজীতিকরা খুব অস্বস্তিকর অবস্থার থেকেই এসব কর্মসূচিতে অংশ নেয় বলেও মন্তব্য করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
কর্মসূচিতে যারা এমন বিশৃঙ্খলা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান হয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, যে সকল কর্মকাণ্ড সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে তা মারামারি বা ধাক্কাধাক্কি অথবা জনগণের কাছে এমন বার্তা যায় যে এই সংগঠনটি উশৃঙ্খল তাতে সুনাম নষ্ট হওয়া ছাড়াও জনসম্পৃক্ততা নষ্ট হয়।
যারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে তাদের কাউকেই ছাড় দিতে রাজী নন কেন্দ্রীয় নেতারা।