খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতে করা রিটকে ষড়যন্ত্র বলছে বিএনপি।
এজন্য রিটকারী আইনজীবীর সমালোচনা করেছেন দলটির নেতারা। তাদের মতে, দলীয় প্রধানের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা বাড়াতেই এটি করা হয়েছে।
১৩ই নভেম্বর থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউতে থাকা চেয়ারপার্সনকে বিদেশ পাঠাতে তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও তাতে এখনো সাড়া দেয়নি সরকার। রাজপথ থেকেও একই দাবি তুলছে বিএনপি। এরইমাঝে গেল সোমবার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন ইউনুছ আলী আকন্দ নামের এক আইনজীবী।
রিটকারী এ আইনজীবী জানান, তিনি শুধুমাত্র মানবিক কারণেই রিটটি দায়ের করেছেন। তবে, ইউনুছ আলী আকন্দের করা এ রিটকে পুরোপুরি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমি এটাকে সরকারের একটা রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই দেখছি। সরকার এখন সবকিছু আদালতকে দিয়েই বৈধতা দিচ্ছে। খালেদা জিয়া যেন বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে না পারেন সেজন্যই এই কৌশল অবলম্বন করেছে।
বিএনপির আইনজীবী নেতাদের দাবি, তাদের দলীয় প্রধানের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য তারাই যথেষ্ট। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীরউত্তম জানান, রিটকারী আইনজীবী কিছু হলেই আদালতে রিট করেন। নিজেকে আলোচনায় রাখতেই তিনি এসব করেন। আদালতের তো খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ক্ষমতা নেই। আর সম্ভব হলেও রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া সম্ভব হবে না।
আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দের করা রিট আবেদনটি হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে, গত ১৩ই নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ বছরের ২৭শে এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তখন ৫৪ দিন হাসপাতালে থাকতে হয় খালেদা জিয়াকে।