ওমিক্রনের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এখন যুক্তরাজ্যে। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে দেড় থেকে দুই হাজার যাত্রী আসছেন বাংলাদেশে। কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা না থাকায় দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কোয়ারেন্টিন নয়, ইউরোপ ফেরতদের বিমানবন্দরে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই শুরু হবে পরীক্ষা।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়েছে প্রায় একশো দেশে। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা যুক্তরাজ্যে। সেখানে ওমিক্রনে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে দেড় লাখ। শনাক্তের বেশিরভাগই করোনার নতুন ধরন। দেশটিতে ওমিক্রনে মারা গেছেন ১৪ জন। প্রতিদিন বাড়ছে রোগী।
যুক্তরাজ্য থেকে প্রতি সপ্তাহে দেশে আসছেন দেড় থেকে দুই হাজার যাত্রী। আফ্রিকার ৭ দেশ থেকে ফেরা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হলেও যুক্তরাজ্যের বেলায় তা হয়নি। এরইমধ্যে অনেক দেশ যুক্তরাজ্য ফেরতদের কোয়ারেন্টিন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বাংলাদেশেও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতের পরামর্শ দিচ্ছেন যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি গবেষক ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেছেন, বাংলাদেশে ঢুকতে ৪৮ ঘণ্টা আগের দরকার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। ওমিক্রন রোধে ইউরোপ ফেরতদের বিমানবন্দরেই র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক।ওমিক্রন প্রতিরোধে মাস্ক ও টিকাদানে আরও জোর দেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।