ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় প্রবেশ করতে দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। তাকে টরেন্টোর পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফিরতি ফ্লাইটে দুবাইতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নারীর প্রতি অশোভন মন্তব্য করে বিতর্কিত হওয়া সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ১.৩১ মিনিটে টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।
পরে বাংলাদেশে নারীদের হয়রানি, অপমান এবং নির্যাতনের কারণে তাকে ইমিগ্রেশন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সঙ্গে তার কাছে বিভিন্ন ভিডিও, ছবি ও সংবাদ এর বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি কী কারণে কানাডায় এসেছেন, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। এ সময় কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হন ডা. মুরাদ। তার সরকারি ও ব্যক্তিগত পাসপোর্ট জটিলতার বিষয়েও কানাডা ইমিগ্রেশন জানতে চাইলে কোনো সঠিক উত্তর দিতে না পারায় তাকে কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে পুনরায় দুবাইয়ে ফেরত পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ডা. মুরাদ হাসান গত সেপ্টেম্বর ২০২১’এ সরকারি সফরে কানাডার – টরন্টো, মন্ট্রিয়ল, অটোয়া,কেল গেরি, ভেঙ্কুভারসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সফর করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভায় অংশ নেন। তিনি সে সময় বাংলাদেশ সরকার এর তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত, নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য প্রদান এবং এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে অশালীন ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর গত সোমবার জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ করেন। সেদিন রাতেই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে মুরাদ হাসানকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।