তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা মুরাদ হাসানের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করছিলেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি মুরাদ হাসানের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মুরাদ হাসান তাঁকে সব সময় সহযোগিতা করে এসেছেন। কিন্তু গত কয়েক মাসে তাঁর মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করেছেন। তাঁর বক্তব্য সরকার ও দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিব্রত করেছে।
প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পর মুরাদ হাসানকে দল থেকেও বাদ দেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুরাদ হাসান জামালপুরের জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেবে।
মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে কি না— তথ্যমন্ত্রীকে এমন প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য জনগণের নির্বাচিত। তাই চাইলেই বাদ দেওয়া যায় না।
মুরাদ হাসান আজ তাঁর দপ্তরে পদত্যাগপত্র পাঠান। দুপুরে প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ২০১৯ সালের মে মাসে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় মুরাদ হাসানকে আজকের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।