সরকারি হিসেবে অন্তত ৩০ শতাংশ শিশু বিদ্যালয়ে আসার চ্যালেঞ্জের মুখে। এর মধ্যে ঝরে পড়ার ঝুকিতে ১০ থেকে ১২ শতাংশ ছেলে-মেয়ে। যার একটি বড় অংশই সুবিধাবঞ্চিত শিশু। বিশেষ করে বস্তিতে বাস করা এসব শিশুরা শিক্ষার বাইরে থেকে জড়িয়ে পড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
সুইটির বয়স ১৩। গ্রামে থাকার সময় ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়লেও ঢাকায় এসে তা বন্ধ। মা জানান, বাসা-বাড়িতে কাজ করে সংসার চালানোই কঠিন। তাই মেয়েকে আর পড়াতে পারছেন না। একই অবস্থা মুন্নির। করোনাকালে বন্ধ হয়েছে স্কুলে যাওয়া।
সুইটি, মুন্নির মতো শহরাঞ্চলের বস্তিতে বাস করে এমন লাখো শিশু শিক্ষার আলো বঞ্চিত। এসব শিশুরা জড়াচ্ছে ভিক্ষা, প্রতারণা কিংবা মাদক কারবারসহ ভয়াবহ নানা অপরাধে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকার কারণে এ হার দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা। কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে ৯৮ ভাগ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতো। তবে কোভিডের পরে উপস্থিতির হার ৬০-৭০ শতাংশ।
শহরের বস্তি এলাকায় পাঠদানের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মীরা বলছেন, বস্তির শিশুদের শিক্ষাদানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব প্রকট।
এমন ১০ লক্ষ শিশুকে ফেরাতে বিশেষ প্রকল্প নিয়েছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো।
সরকারের, এনুয়াল প্রাইমারি স্কুল সেন্সাস-২০২০ সালের পরিসংখ্যান মতে ১৭.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পরে। মাধ্যমিকে এ হার ৩৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশে ৭০ লাখ শিক্ষার্থী শিক্ষার বাইরে।