আবারও বন্ধ হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
নির্ধারিত সময়ের ৮ মাস পর শুরু হয়েছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তবে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। কেন্দ্রের ভেতরে পরীক্ষার্থীরা স্বাস্থবিধি মানলেও উদাসীন ছিলেন অভিভাবকরা। শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি জানান, পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে।
করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রনের’ কথা বিবেচনায় রেখে আগামী জানুয়ারিতে শুরু হওয়া নতুন বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা এ মুহূর্তে স্থগিত আছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বলেন, যখন অবস্থা ভালো ছিল, ওমিক্রনের কথা শোনা যায়নি, তখন নতুন বছরে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এই মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা স্থগিত আছে। অবস্থা কোন দিকে যায়, সেটি দেখতে হবে।
করোনা অতিমারির কারণে গত বছর হয়নি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। আর নির্ধারিত সময়ের ৮ মাস পর বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ অংশে ২৫টির মধ্যে ১২টি এবং লিখিত অংশে ৮টির মধ্যে ২টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এমসিকিউ অংশে ৩০টির মধ্যে ১৫টি এবং ১১টির মধ্যে ৩টির উত্তর দিতে হয়।
কেন্দ্রের ভেতরে পরীক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও বাইরে জটলা পাকিয়ে ভিড় করেন অভিভাবকরা। তবে সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে পরীক্ষা দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত ছিলেন শিক্ষার্থীরা। স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরাও।
পরীক্ষা শেষে নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি ও প্রশ্নের মান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কথা জানান পরীক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানান, সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পরীক্ষা। প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই এবং প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবার ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে।
করোনার পরিস্থিতির কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে দেড় ঘণ্টায় হচ্ছে এবারের পরীক্ষা। এ বছর ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। সকালে ও বিকেলে দুই ধাপে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এবার সাধারণ নয়টি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষা দিচ্ছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের ছাত্র পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ জন। ছাত্রী পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে এক লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন। তাদের ছাত্র ৬১ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৫১ হাজার ৪০৬ জন। এ ছাড়া এইচএসসি- বিএম/ভোকেশনাল পরীক্ষা দিচ্ছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জন। তাদের ছাত্র এক লাখ চার হাজার ৮২৭ জন। ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৪২ জন।