প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলনের আত্মত্যাগ নতুন গতি সঞ্চারিত করেছিল।
’৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) শহীদ ডা. মিলন দিবস’ উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) বাণী দেন প্রধানমন্ত্রী। এতে শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলনের আত্মত্যাগ নতুন গতি সঞ্চার করে। ওই দিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।
ডা. মিলন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে যান। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঘাতকদের গুলিতে শহীদ হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডা. মিলন ছাড়াও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এ সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন রাজপথ। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় ভোট ও ভাতের অধিকার। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ওনাদের অবদান জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
ডা. মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা। সেই সঙ্গে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।