ইতিহাসে প্রথমবার নারী প্রধানমন্ত্রী পেয়েছিল ইউরোপের দেশ সুইডেন। তবে ১২ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই পদ ছেড়ে দিলেন নির্বাচিত হওয়া ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন।
আলজাজিরা ও বিবিসির খবর অনুযায়ী, বুধবার (২৪ নভেম্বর) সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ও অর্থমন্ত্রী ম্যাগডালেনা সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন।
কিন্তু তার সরকারের ওপর থেকে জোট সঙ্গী গ্রিন পার্টির সমর্থন প্রত্যাহার ও পার্লামেন্টে বাজেট অনুমোদন করাতে ব্যর্থ হওয়ায় নাটকীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন তিনি।
ম্যাগডালেনার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সুইডেনের পার্লামেন্টে শুরু হয় চরম নাটকীয়তা। ম্যাগডালেনার উত্থাপন করা বাজেট অনুমোদনে অস্বীকৃতি জানান গ্রিন পার্টির সদস্যরা। বিরোধের এক পর্যায়ে তারা সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন। এর জের ধরে সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হয় ম্যাগডালেনাকে।
পদত্যাগের পর সাংবাদিকদের ম্যাগডালেনা বলেন, জোট সরকারের ওপর থেকে কোনো দল সমর্থন তুলে নিলে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়। এটাই সুইডেনের সাংবিধানিক নিয়ম। এই নিয়ম মেনে আমি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাচ্ছি। সাংবিধানিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ একটি সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারি না আমি।
তবে শিগগিরই আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইতিহাস গড়া ম্যাগডালেনা। তিনি বলেন, আমি স্পিকারকে বলেছি, পদত্যাগ করছি। তবে একক দলের নেতা হিসেবে সরকারপ্রধানের পদে দ্রুত ফিরে আসবো।
গত ১০ নভেম্বর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন পদত্যাগ করেন। ২০১৪ সাল থেকে গ্রিন পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে সংখ্যালঘু জোটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকে স্টেফান বলেছিলেন, দলের পরবর্তী নেতৃত্বকে যথেষ্ট সময় দিতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করবেন তিনি।
স্টেফানের পদত্যাগের পর ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের নেতা নির্বাচিত হন ৫৪ বছর বয়সী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। তিনি আগের সরকারে অর্থমন্ত্রী ছিলেন। গত মঙ্গলবার বামপন্থীদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হয় তার। পেনশনের পরিমাণ বৃদ্ধির শর্তে অ্যান্ডারসনকে সমর্থন দেয়ার আশ্বাস দেয় লেফট পার্টি।