বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া’র শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে সে জন্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে এই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।
এরপরই পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব ইউনিটে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া শুরু হয়।
এমনকী পুলিশের দায়িত্বশীল যেসব কর্মকর্তা ছুটিতে ছিলেন, তাও বাতিল করে বলা হয় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে যারা ছুটিতে আছেন তাদের ছুটি ২৩ নভেম্বর থেকে বাতিল করা হয়েছে এবং ২৪ নভেম্বরের মধ্যে নিজ কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবি ঘিরে কেউ যেন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে লক্ষ্যে দেশব্যাপী নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
খালেদা জিয়া’র স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও গুজব বা অসত্য তথ্য ছড়ানোর কারণে বিশৃঙ্খলার বিষয়টিতেও নজর রাখা হচ্ছে।
দেশের সব থানাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থাপনা ঘিরে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও।
উল্লেখ্য, নানান শারীরিক জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া’র হিমোগ্লোবিন কমে যায়। তবে চিকিৎসকরা রক্ত দেওয়ার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তার শরীর। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এই গুজবকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।