দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মাঝে উত্তেজনার জেরে এশিয়ার দেশগুলোয় অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে। অত্যাধুনিক সব যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হচ্ছে একের পর এক দেশ। এ অবস্থায় আঞ্চলিক নিরাপত্তার পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা।
সম্প্রতি বিশ্বের নজর কেড়েছে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা। তবে উত্তেজনা ছাড়িয়েছে গোটা এশিয়াতেই। ফলে এ অঞ্চলে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনের সাংহাইয়ের জাহাজ কারখানায় দেশটির সবশেষ এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ তৈরিতে কাজ করছেন শ্রমিকেরা। উচ্চপ্রযুক্তির এ জাহাজটি মার্কিন প্রতিপক্ষের মতো একই গতিতে আকাশে বিমান চালাতে সক্ষম হবে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমলে প্রতিরক্ষা খাতে প্রতিবছর ব্যয় বাড়াচ্ছে চীন। ২০২১ সালে এই ব্যয় ছাড়িয়েছে ২০০ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় এই ব্যয় কম হলেও কমছে না দুশ্চিন্তা।
দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় উঠে-পড়ে লেগেছে বেইজিং। সম্প্রতি সেখানে টহলে নামিয়েছে ৩০০ নৌযান। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, বেসামরিক নৌযানের আড়ালে আধিপত্য বাড়াতে চায় চীন।
চলতি সপ্তাহে নিজস্ব বিমানবাহিনীতে সর্বাধুনিক এফ-১৬-ভি ফাইটার জেট যুক্ত করেছে তাইওয়ান। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরো ৬৬টি ফাইটার জেট কিনেছে তাইপে, যা ২০২৩ সালে দ্বীপটির বহরে যুক্ত হবে। চীনের ক্রমাগত সামরিক হুমকির মুখে এ উদ্যোগ তাইওয়ানের।
পূর্ব এশিয়ায়- চীন ও উত্তর কোরিয়ার হুমকির প্রতিক্রিয়ায় সামরিক বাহিনীকে দ্রুত আধুনিকায়ন করছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
আগামী অর্থবছরে সামরিক খাতে অর্থ বরাদ্দ দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ সালের মধ্যে বাড়ানো হবে ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যাও।
গত মাসে নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ২০৩৩ সালে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নিজেদের প্রথম বিমানবাহী রণতরী সংযুক্তির কথা ভাবছে দেশটি।
এদিকে, বিতর্কিত হিমালয় সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সামরিক বিনিয়োগ বাড়িয়েছে ভারত। ফলে, দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।