মৌখিকভাবে বললেও রেইন ট্রি ধর্ষণ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে মামলা নিতে সময় বেঁধে দেয়ার পর্যবেক্ষণ বাদ দিয়েছেন বিচারক কামরুন্নাহার। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে ওই ধর্ষণ মামলার লিখিত রায় প্রকাশ হয়।
গত ১১ নভেম্বর এতে স্বাক্ষর করেন বিচারক কামরুন্নাহার। এরপর আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়।
এর আগে ৭২ ঘণ্টা পর থানায় ধর্ষণ মামলা না নিতে পর্যবেক্ষণ দেন কামরুন্নাহার। এতে ব্যাপক সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে। পরে তার বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করেন সুপ্রিম কোর্ট।
গত সোমবার এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রধান বিচারপতি এবং আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্লেষণের জন্য এই মামলার সব তথ্যপ্রমাণ নিম্ন আদালত থেকে নিজ আওতায় নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
গত ১১ নভেম্বর হোটেল রেইন্ট্রি ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণাকালে বিচারকক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকরাও বলছেন, বিচারক তার পর্যবেক্ষণ মৌখিকভাবেই দেন।
এর আগে অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণাকালে বিচারকগণ সাংবাদিক ও আইনজীবীদের লিখিত পর্যবেক্ষণের কপি দিয়েছেন। কিন্তু এই মামলার ক্ষেত্রে তা দেয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় মামলা করেন।
ওই বছরের ৩ জুন একটি মেডিকেল বোর্ড ভিকটিমদের ফরেনসিক রিপোর্ট পুলিশের কাছে জমা দেয়। মামলায় অভিযোগ অনুসারে, অভিযুক্তরা বাদী এবং তার এক বন্ধুকে ঢাকার রেইনট্রি হোটেলে আটকে রেখে দুজনের ওপরই নির্যাতন চালায়। মামলাটি সে সময়েও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টির পাশাপাশি দেশজুড়ে ধর্ষণ-বিরোধী জনমত গড়ে তুলেছিল।