‘ঢাকার চারপাশে ৮৯ কিলোমিটার সার্কুলার ট্রেন লাইন চালু করা হবে’

1871
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ঢাকার চারপাশে ৮৯ কিলোমিটার সার্কুলার ট্রেন লাইন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। সোমবার (৮ নভেম্বর) কমলাপুর রেল স্টেশনে ‘স্বয়ংক্রিয় ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঢাকার যানজট নিরসন এবং যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে এই সার্কুলার ট্রেন চালু করা হবে। এর মধ্যে ৯ কিলোমিটার রেললাইন থাকবে মাটির নিচ দিয়ে। বাকি রেলপথ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হবে।

এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর একনেকে অনুমোদিত হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ ও ৫০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ এবং ২টি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।

যাত্রীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ভ্রমণের জন্য প্রতিটি ট্রিপ শেষে আধুনিক অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্টের মাধ্যমে ট্রেনের কোচসমূহ পরিষ্কারের লক্ষ্যে ঢাকায় মিটারগেজ ও রাজশাহীতে ব্রডগেজ অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। প্ল্যান্ট ২টির সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের এনএস করপোরেশন এবং লোকাল এজেন্ট নেক্সট জেনারেল গ্রাফিক্স লিমিটেড (এনজিজিএল)।

আরও পড়ুন: বিএনপির টিকে থাকা নিয়ে সন্দিহান প্রধানমন্ত্রী

বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১২১৭টি মিটারগেজ ও ৪৬৭টি ব্রডগেজ কোচ রয়েছে। সহসাই আরও ৩৫০টি মিটারগেজ এবং ৩০০টি ব্রডগেজ কোচ সংগৃহীত হবে। যা দ্বারা আরও ১৬টি মিটার গেজ এবং ১৮টি ব্রডগেজ নতুন ট্রেন চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। এসব নতুন ট্রেন চালু হলে এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে ট্রেনের কোচ পরিষ্কার করা সম্ভব হবে।

নতুন স্থাপিত এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে অল্প সময়ে ট্রেনের উভয় পাশ, ছাদ এবং আন্ডার গিয়ার সুচারুভাবে পরিষ্কার করা যাবে। এই প্ল্যান্ট প্রতিদিন কমপক্ষে ১ লাখ লিটার পানি সাশ্রয় করবে এবং ব্যবহৃত পানির ৭০% রি-সাইকেল করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করবে।

আধুনিক প্রযুক্তির এই প্ল্যান্টের অভ্যন্তরে কর্মচারীরা নিরাপদে কাজ করতে পারবে। এটি একটি পরিবেশ বান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী প্রকল্প।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন