জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছেন পরিবেশবাদীরা। কপ-টোয়েন্টি সিক্স সম্মেলনের ভেন্যু গ্লাসগোতে বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় ১ লাখ মানুষ।
কিশোর পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ বিক্ষোভে উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তব্য রাখেননি।
জলবায়ু সম্মেলনের প্রথম সপ্তাহের আলোচনায় বিশ্বনেতারা নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবেশবাদীরা। আলোচনায় দ্রুত অগ্রগতির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে একটি সেতু অবরোধ করায় বিক্ষোভ থেকে ২১ জনকে আটক করে পুলিশ।
গ্লাসগো ছাড়া ফ্রান্স, কেনিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ প্রায় একশ দেশে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
কপ২৬ এর সম্মেলনে বক্তরা বৈশ্বিক উষ্ণতা কীভাবে কৃষিজমি ধ্বংস করে খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে তা জানিয়ে সতর্ক করেন।
এক সপ্তাহ ধরে সরকার প্রধানদের বক্তব্যে ধাপে ধাপে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা, শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ কমানো এবং বন বিনাশ হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি এসেছে। কিন্তু জলবায়ু আন্দোলনকারীরা বলছেন, এ পর্যন্ত এই সম্মেলনে অগ্রগতি খুব কমই দেখা গেছে।
সম্মেলনের মঞ্চে অভিনেতা ইদ্রিস এলবা স্বীকার করেন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তার কথা বলার যোগ্যতা সামান্যই, কিন্তু কপ২৬ এ তিনি এসেছেন জলবায়ু বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তার প্রতি যে হুমকি তৈরি করছে তা নিয়ে সরব হতে।
একই প্যানেলে জলবায়ু ন্যায়বিচার নিয়ে প্রচারণাকারী উগান্ডার ভানেসা নাকাতে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো বন্ধ করার জন্য বিশ্বের প্রতি অনুনয় জানান, মূলত এই জীবাশ্ম জ্বালানি বিশ্বের তাপামাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি বন্যা, খরা ও পঙ্গপালের কারণে খামারগুলো ভেঙে পড়ছে আর মানুষজন জীবিক হারাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এসব দুর্যোগ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জলবায়ু আলোচনায় তার প্রভাব সম্পর্কে জানাতে চাইলে নাকাতে বাইরে প্রতিবাদের উল্লেখ করে বলেন, বাইরে যা হচ্ছে তাই পরিবর্তন, তরুণরা যা করছে, জলবায়ু ধর্মঘট সংঘটিত করছে। পরিবর্তন এখানেই ঘটছে।