এক লাফে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট।
প্রথমে বিভিন্ন জেলায় খণ্ড খণ্ডভাবে গণপরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিলেও পরে সেই ডাকে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় পরিবহন মালিক সমিতি।
এতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর তাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বাসের জন্য মোড়ে মোড়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজনে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন, তাদের যেতে হচ্ছে সিএনজি, রিকশা ও বাইকে চড়ে। তাই রাজধানীর সড়কগুলো ছিলো সিএনজি ও রিকশার দখলে। আর এই সুযোগে এসব পরিবহনের ভাড়া হয়ে গেছে তিন থেকে চারগুণ। ২০ টাকার ভাড়া যেতে হচ্ছে ১০০ টাকা দিয়ে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজার থেকে সদরঘাট যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওমর ফারুক নামের একযাত্রী। তিনি জানান বাস না পেয়ে বাইকে যাওয়ার জন্য দাম জিজ্ঞেস করলে বাইক চালক ৩০০ টাকা ভাড়া দাবি করেন। কারওয়ানবাজার থেকে সদরঘাটের পথ মাত্র ২০ মিনিটের, সেখানে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা ভাড়া হতে পারে কিন্তু তিনি ৩০০ টাকা ভাড়া দাবি করছেন। অথচ, বাসে মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকায় যাওয়া যেত।
তাছাড়া শুক্রবার ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় সারাদেশ থেকে পরীক্ষার্থীরা ঢাকায় এসেছেন। কিন্তু সকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে তারা বিপাকে পড়েন। রিকশা, অটোরিকশা ও বাইক পাওয়া গেলেও ভাড়া গুনতে হচ্ছে চারগুণ বলে অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩ নভেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি গেজেটে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। হঠাৎ করে তেলের মূল্য বৃদ্ধি অযৌক্তিক। এই মূল্য বৃদ্ধির ফলে শুধু পরিবহন মালিকরা নয়, সারাদেশের জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।