জলবায়ু সম্মেলনে পুতিন-জিনপিংয়ের ওপর তোপ দাগলেন বাইডেন

1856
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে রাশিয়া এবং চীনের প্রেসিডেন্ট উপস্থিত না হওয়ায় চরম সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মঙ্গলবার রাতে দেয়া এক ভাষণে জো বাইডেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন বড় সমস্যা পৃথিবীর জন্যে। চীন এই সম্মেলন থেকে সরে গেছে। রাশিয়াও চীনের পথ ধরেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানাচ্ছে, রাশিয়া প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কেউই এই সম্মেলনে হাজির হননি। দুই দেশই সম্মেলনে তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।

বিবিসি জানাচ্ছে, চীন এখন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ।এরপরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারতের পর কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে রাশিয়ার অবস্থান পঞ্চম। ১২০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ নেতারা কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। এই চুক্তিগুলোর মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেনের স্তর নামিয়ে আনা, বন উজাড় কমানো ও বন্ধ করার চুক্তিও রয়েছে।

বিবিসি জানাচ্ছে, সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত না থাকলেও চীন ও রাশিয়া উভয়ই বন উজাড় বন্ধের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।বাইডেনের বক্তব্যের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন মঙ্গলবার এই সম্মেলনে বন ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি সভায় ভার্চুয়াল ভাবে অংশগ্রহণ করে বলেন, রাশিয়া বনভূমি সংরক্ষণের জন্য “সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সবচেয়ে জোরালো পদক্ষেপ” নিবে।

বিবিসি জানাচ্ছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে পাঠানো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে। এদিকে বাইডেন তার বক্তব্যে সম্মেলনে চীন রাশিয়া এবং সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তিনি বলেছেন, এটা বোঝায় যাচ্ছে, চীন বিশ্বে নতুন নেতা হওয়ার জন্যে নিজেকে দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি চীনকে উদ্দেশ্য করেন বলেন, দেখানোর কিছু নাই, এখানে আসুন।

এরপর শি জিনপিংকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জলবায়ু সম্মেলনে না এসে বিরাট ভুল করেছেন শি। একই ভাবে পুতিনেরও চরম সমালোচনা করছেন বাইডেন। তিনি বলেন, যখন রাশিয়ার বিশাল প্রাকৃতিক অংশ জ্বলছে তখন পুতিন একেবারেই চুপ হয়ে আছেন।

এর আগে সেপ্টেম্বরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানায়, ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্যদিকে অক্টোবরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একই বক্তব্য দিয়েছেন তবে ২০৬০ সালের মধ্যেই রাশিয়া বাস্তবায়ন করবে এমন মন্তব্য তিনি করেননি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন