প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিক ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আরো কঠোর হবে ইসি। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলছেন, এরইমধ্যে একটি নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমনে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারো সরব ভোটের মাঠ। তবে এবার নির্বাচনী উত্তাপ শুরু থেকেই রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। সাথে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যাও।
ইসির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে শুরু থেকেই ভোট বয়কট করেছে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এ অবস্থায় ফাঁকা মাঠে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ। এতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা রূপ নিচ্ছে সহিংসতায়।
নির্বাচন বিশ্লেষক আবু আলম শহীদ খান বলেন, বিভিন্ন নির্বাচনে শাসক দলের প্রার্থীদের মধ্যে একটি ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে তারা যদি মার্কা পান অথবা শাসক দলের সমর্থনপুষ্ট প্রার্থী হতে পারেন তাহলে তারা জিতবেন। সে কারণে এখন এই প্রতিযোগিতা সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নেই। সে কারণে প্রতিযোগিও বেড়ে গেছে। যার ফলে তারা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশন বলছে, সহিংসতার কারণে এরই মধ্যে দুয়েক জায়গায় ভোট বন্ধ করা হয়েছে। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে আরো কঠোর হবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, আমরা চাচ্ছি আমরা এ ধরনের কিছু সিদ্ধান্ত নিব যাতে এসব সহিংস ঘটনা ঘটানোর ক্ষেত্রে যারা উৎসাহী ভূমিকা রাখছে তারা যাতে নিরুৎসাহিত হয়। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি, কিন্তু তাদেরও একটি ভূমিকা থাকতে হবে। যাতে এ ধরনের হিংসাত্বক ঘটনা না ঘটে।
আর এই বিশ্লেষকের মত, সংঘাত সহিংসতা বাড়ার ফলে ভোটে আগ্রহ হারাচ্ছে ভোটাররা। শুধু নির্বাচন কমিশন নয় এই রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে হবে সরকারকেও।
নির্বাচন বিশ্লেষক আবু আলম শহীদ খান বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা যদি আমরা ধ্বংস করে ফেলি তাহলে এটি একটি অশনি সংকেত এবং আমরা অন্ধকারের দিকে যাব। সে জন্য যারা দেশ শাসন করছেন এবং যারা পরবর্তীতে দেশ শাসন করতে চান, যারা রাজনীতি করেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশে বিশ্বাস করেন তাদের সকলের দায়িত্ব হবে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংসের হাত থেকে ছিনিয়ে এনে একটি ভালো নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করা।
দ্বিতীয় দফায় ৮শ ৮৪ টি ইউনিয়নের ভোট হবে আগামী ১১ নভেম্বর।