মেটাভার্স কী, কীভাবে কাজ করবে?

1701
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাক জাকারবার্গ বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট নিয়ে তিনি তার পরিকল্পনার ব্যক্ত করেছেন। অনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি এখন মেটাভার্সের উপর গুরুত্ব দিবে।

ফেসবুক ইনকরপোরেট বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বার্ষিক সভায় ব্রান্ডের নাম পরিবর্তন করে মেটা নির্বাচন করেছেন। সেখানে তিনি নতুন এই ব্রান্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বা ভিশন কী হবে তার বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে মেটাভার্স এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মেটাভার্স কী?
জাকারবার্গের ভাষায়, মেটাভার্স হরো ‘ভার্চুয়াল পরিবেশ’ বা কল্পনার জগত যার মধ্যে আপনি প্রবেশ করতে পারবেন। এখানে পরস্পরসংযুক্ত ভার্চুয়াল সমাজ থাকবে—যেখানে মানুষ পরিচিতদের সঙ্গে দেখা করবে, কাজ করবে, খেলবে।

এসব কাজ তারা করবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) হেডসেট, অগমেন্টেড রিয়েলিটি চশমা, স্মার্টফোন অ্যাপ কিংবা অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে। কম্পিউটারের সামনে বসে না থেকে ভিআর হেডসেট লাগিয়েই আপনার প্রিয় ওয়েবসাইটগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

মেটাভার্সে অনলাইন জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্র, যেমন কেনাকাটা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও যুক্ত হবে।

মেটাভার্সে যেসব কাজ করা যাবে

ভার্চুয়াল কনসার্টে যাওয়া, অনলাইনে ঘুরতে যাওয়া, শিল্পকর্ম দেখা বা সৃষ্টি করা কিংবা কেনা—সবই করতে পারবেন মেটাভার্সের দুনিয়ায়।

কোম্পানিগুলোর জন্য হরাইজন ওয়ার্করুমস নামক সফটওয়্যার চালু করেছে ফেসবুক। এটি ব্যবহার করতে হবে ফেসবুকের অক্যুলাস ভিআর হেডসেট দিয়ে। যদিও এর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া খুব একটা ইতিবাচক নয়। অক্যুলাস হেডসেটের মূল্য ৩০০ ডলার বা তারও বেশি। যা মেটাভার্সকে করে তুলেছে ব্যয়বহুল। এর ফলে অনেকেরই নাগালের বাইরে চলে যাবে মেটাভার্স।

তবে যারা অর্থ খরচ করে এই হেডসেট কিনতে পারবেন, তারা বিভিন্ন কোম্পানির বানানো অ্যাভাটার ব্যবহার করে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

তবে কোম্পানিগুলো তাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে পরস্পরের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত করবে, তা এখনও ঠিক করা হয়নি।

ফেসবুক কি সম্পূর্ণই মেটাভার্সে পরিণত হবে?

জাকারবার্গের মতে, ভবিষ্যতে ইন্টারনেটই ডিজিটাল অর্থনীতির কেন্দ্রে পরিণত হবে। তাই আগামীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে নয়, ফেসবুককে মেটাভার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবেই দেখতে শুরু করবে মানুষ।

মেটাভার্স কি কেবল ফেসবুকেরই প্রকল্প?
না। মাইক্রোসফট ও চিপ প্রস্তুকারক এনভিডিয়াসহ আরও অনেক কোম্পানিই মেটাভার্স তৈরি নিয়ে কথা আলোচনা চালাচ্ছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

শেয়ার করতে ক্লিক করুন