সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: কল-কাঠি নাড়ছে কারা?

1890
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শুধু জামায়াত-শিবির নয়, পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে নুরের নবগঠিত সংগঠনের সদস্যদের নামও। তাহলে এসব ঘটনার পেছনে কল-কাঠি নাড়ছে কারা? সম্প্রীতির দেশে কেনইবা এই সাম্প্রদায়িকতা? এখনও উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর এর নেপথ্যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিলো। পুলিশের তদন্তেও তার প্রমাণ মিলছে।

এই যেমন কুমিল্লার ঘটনায় গ্রেফতার ইকবালের সহযোগী রেজাউল হোসেন ইকরাম ছিলেন বিএনপির সক্রিয় কর্মী। ১২ অক্টোবর রাতে ইকবাল যখন হনুমানের হাতে থাকা গদা নিয়ে ঘুরছিলো তখন তার আশে পাশেই ছিলো ইকরাম। এই ইকরামই ১৩ অক্টোবর ভোরে ফোন করে মণ্ডপে কোরআন রাখার কথা সবার প্রথমে জানায় পুলিশকে। পরবর্তীতে সেই বিক্ষুব্ধ জনতাকে উত্তেজিত করে।

১২ অক্টোবর রাতে মাজার মসজিদ থেকে কোরআন নেয়ার সময় আসামি ইকবাল যে দুজনের সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের একজন হাফেজ হুমায়ুন। সে জামায়াতের কর্মী এবং ইকবালের ফেসবুক ফ্রেন্ড। পুলিশের ধারণা- খাদেম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ূন, ইকবালকে কোরআন নিতে সহায়তা করেছিলেন।

নোয়াখালীর ৭টি মন্দির ও ৪টি পূজামণ্ডপে হামলার নেপথ্যেও রয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা। দলটির দুই নেতার জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় নেতাসহ একডজন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীর নাম।

চট্টগ্রামের পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় বিএনপি,শিবির কর্মীদের জড়িত থাকার পাশাপাশি ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের সংগঠন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে পুলিশের তদন্তে। পুলিশ বলছে- সিসিটিভি ফুটেজ ও ছবি দেখে তাদের সনাক্ত করার কথা। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ১শ জনকে।

রংপুরের পীরগঞ্জে সাম্প্রদায়িকতার আগুনে পুড়ে ছাই হয় ২০টি ঘরবাড়ি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করা হলেও পরে আগুন দেয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত শিবির নেতা মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামুন সংগঠনটির সক্রিয় কর্মী। একাধিক নাশকতার মামলার আসামি।

এছাড়া চাঁদপুরের সহিংসতার ঘটনায় জামায়াতের স্থানীয় এক নেতা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন