নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপিনেতা এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এর মধ্য দিয়েই আমরা একটি নতুন সরকার গঠন করব। আর যুবদলকে অনুরোধ করব তারা যাতে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তারা যেন স্বপ্ন দেখে একটি আধুনিক রাষ্ট্রের, একটি আধুনিক জাতি গঠনের।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক ও যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন যুবদলের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তখন তিনি এমন একটি দল গঠন করতে চেয়েছেন যে দল ভবিষ্যতে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিবে, রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিবে ও জাতি গঠনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে। ৪৩ বছরে জাতীয়তাবাদী যুবদল নিঃসন্দেহে তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। আমি আজকের এই দিনে স্মরণ করতে চাই যুবদলের যেসব নেতাকর্মী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে সংকটময় মুহূর্ত, সেই মুহূর্তে সবচাইতে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে যুবদলকে। এই যুবদলের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সারা দেশের মানুষকে সংগঠিত করে এই ভয়াবহ দানবীয় যে সরকার আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে। যে সরকার আমাদের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে আটক করে রেখেছে, আমাদের স্বপ্নের নেতা তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে রেখেছে, অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে তাদেরকে পরাজিত করতে যুবদলকে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। আজকের সংকট কাটিয়ে উঠতে চাইলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা এই সরকারের পরিবর্তন চাই। এই যুবকরাই সেই পরিবর্তন আনতে পারে আর সেই পরিবর্তন আনতে হলে আজকে অবশ্য আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।