ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল আইনের অপব্যবহার হয়। কিন্তু এর অপব্যবহার হওয়া উচিত নয়। যারা এটি প্রয়োগের সঙ্গে যুক্ত তারা সচেতন থাকলে অপব্যবহার হবে না। তবে কোথাও অপব্যবহার হলে এবং আমাদের কাছে অভিযোগ এলে আমরা তা গুরত্ব দিয়ে দেখবো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোটার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) কার্যালয়ে সংগঠনটি আয়োজিত সংলাপে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী।
দেশে ডিজিটাল বিপ্লবের শুরু, ডিজিটাল বাংলাদেশ আন্দোলন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, সোসাইটি ৫.০, বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রফতানি, দেশে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উৎপাদন, দেশে মোট চাহিদার ৮৫ শতাংশ মোবাইল ফোনের উৎপাদন, মোবাইল ফোনের কল ড্রপ, নেটওয়ার্ক সমস্যা, ফোরজি নেটওয়ার্ক, ফাইভজি প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভজি চালু করবো। টেলিটক ঢাকার ৫ বা ১০টি সাইটে ভাইভজি চালু করবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রীর উত্তর, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছি। আমি আগেও বলেছি, এখনও বলি- আমরা যত ডিজিটাল হচ্ছি, ততই ডিজিটাল খাতে ঝুঁকিপর্ণ হয়ে পড়ছি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় ৩০০টি লিংকের বিরুদ্ধে ফেসবুকের কাছে রিপোর্ট করে সরকার। সেগুলোর মধ্যে ২৬৪টি বন্ধ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। কুমিল্লার ঘটনার পর ফেসবুককে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রীর ভাষ্য, আমরা ফেসবুকের ভিডিও, ছবি ও লাইভ বন্ধ করতে পারবো এমন সক্ষমতা অর্জন করেছি। আমরা চাইলে কঠোর হয়ে ফেসবুক ও ইউটিউব বন্ধ করে দিতে পারি। তখন সবাই ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) প্রযুক্তি দিয়ে এগুলোতে ঢুকবে। তখন ভিপিএন বন্ধের দাবি উঠবে। ভিপিএন বন্ধ করলে ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে সমস্যা তৈরি হবে। তাই আমরা এসব বন্ধ করবো না। প্রযুক্তি দিয়েই আমরা প্রযুক্তিকে মোকাবিলা করবো। মাথাব্যথা হলে আমি মাথা কেটে ফেলার পক্ষে নই।
সংলাপে বক্তব্য রাখেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।