ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস একথার আরও একবার প্রমাণ দেখলো বিশ্ব ক্রিকেট। লঙ্কানদের দুটি ক্যাচই ছাড়েন লিটন দাস। প্রথমে ১২.৩ ওভারের সময় আফিফের বলে রাজাপাকসের এবং ১৪.৩ ওভারের সময় মোস্তাফিজের বলে আসালাঙ্কার ক্যাচ। সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে পরাজয়বরণ করলো বাংলাদেশ। লঙ্কানদের হয়ে দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন চারিথা আসালাঙ্কা। অর্ধশত করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাচ শেষ প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও তার ঝুলিতে যায়।
চারিথা আসালাঙ্কা ৪৯ বলে ৫ ছয় ও ৫ চারের সাহায্যে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও ভানুকা রাজাপাকসে ৩১ বলে ৩টি ছয় ও ৩টি চারের সাহায্যে ৫৩ রানে করেন।
বাংলাদেশের হয়ে নাসুম আহমেদ ও সাকিব আল হাসান প্রত্যেকে ২টি করে এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একটি উইকেট লাভ করেন।
রোববার (২৪ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারাজায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের নেমে সতর্ক শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ। তবে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তারা। তাতে দারুণ সূচনা পায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তুলে ফেলে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে হঠাৎ খেই হারিয়ে লাহিরু কুমারার বলে সাজঘরে ফেরেন লিটন।
ক্রিজে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। চামিকা করুনারত্নের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ ব্যাটিং স্তম্ভ। এর আগে ১০ রান করেন সাকিব।
তৃতীয় উইকেটে নাঈম-মুশফিককে নিয়ে ৭৩ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১২৯ রানে ফার্নান্দো নিজের বলে ক্যাচ ধরে ৫২ বলে ৬ চারের সাহায্যে ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশত করা নাঈমকে ( ৬২) ফেরান। দুই বছর পর টি-টোয়েন্টিতে অর্ধশত তুলে নেন মুশফিক। ৩ নভেম্বর ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন তিনি। সে ম্যাচে মুশি ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ উইকেটে মুশফিক আফিফকে নিয়ে ২১ রান করেন। আফিফ রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন।
পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে মুশফিক ২১ রানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত মুশফিক ৩৭ বলে ২ ছয় ও ৫ চারের সাহায্যে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। মাহমুদউল্লাহ করেন ১০ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে করুণারত্নে, ফার্নান্দো ও লাহিরু প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।