রংপুরের পীরগঞ্জে জেলেপল্লিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া সৈকত মণ্ডলকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব। এ সংক্রান্ত অভিযোগে তিন মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সম্প্রতি পীরগঞ্জের বড়করিমপুরে পরিতোষ সরকার ও উজ্জ্বল নামের দুই তরুণের দ্বন্দ্বের জের ধরে ফেসবুকে উসকানিমূলক মন্তব্য ও গুজব ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কিছু বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালানো হয়।
ঘটনার দিন একটি মসজিদ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে লোকজন জড়ো করেন টঙ্গীতে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া সৈকত মন্ডল ও তার সহযোগী রবিউল ইসলাম।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত সৈকত মন্ডল রংপুরের পীরগঞ্জে জেলেপল্লিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অন্যতম উসকানিদাতা। সৈকত হামলা ও অগ্নিসংযোগের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মাইকিংয়ের মাধ্যমে মিথ্যাচার করে ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে গ্রামবাসীকে উত্তেজিত করে তোলে। সৈকত নিজেও এই হামলায় অংশগ্রহণ করে।’
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ‘সৈকত রংপুরের একটি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে প্রচার করলেও, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। কোনো দলে কোনো পদ নেই।’
সম্প্রতি দেশে সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টায় কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, রংপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় একটি স্বার্থান্বেষী মহলের তৎপরতায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।