শুক্রবার শুকবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২২ অক্টোবর ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর আগ্রাসনের ‘কালো দিবস উপলক্ষে পথনাটক ‘অপারেশন গুলমার্গ’ মঞ্চস্থ হয়। পথ নাটকে কাশ্মীরে পাকিস্তানের গণহত্যা এবং ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানী বাহিনীর ‘অপাররেশন সার্চলাইট’ এর মাধ্যমে গণহত্যার বিষয়টি ফুটে তোলেন নাটকের কলাকূশলীরা। অনুষ্ঠানটি জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়। নাটকের পাশাপাশি পরিবেশন করা হয় গণসংগীত।
সামাদ ভূঁইয়া ও তার দল ‘অপারেশন গুলমার্গ’ নাটকটি পথমূকাভিনয় আঙ্গিকে পরিবেশন করেন। এতে অভিনয় করেন শিল্লকলা একাডেমির বেশ কয়েকটি থিয়েটারের কর্মীরা। অভিনয় করেন, উম্মে সালমা শিমু, লামিয়া আক্তার, ববি আক্তার, সুমি আক্তার, নাবিল মাহমুদ সাব্বির, আরিফ হোসেন, সাজ্জাদ মাসুদ সৌম্য, রমজান মিয়া ও আদেল।
নাটকটির বিষয়বস্তু ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর ‘অপারেশন গুলমার্গ’ এর নামে ৪০, ০০০ কাশ্মীরি হিন্দু, মুসলিম, ও শিখদের হত্যা করার কথা। এ সহিংসতায় প্রায় ১০,০০০ নারীকে ধর্ষণ করা হয় এবং ২০০০ জন মহিলাকে জোর করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯৪৭ সালের উপজাতীয় আক্রমণ রাতারাতি ঘটেনি, এটি কৌশলগতভাবে পাকিস্তান পরিকল্পনা করেছিল। পাকিস্তানী হানাদারদের দ্বারা বড় ধরনের অত্যাচার করা হয়েছিল, বেসামরিক লোকদের লুট করা হয়েছিল, এমনকি হাসপাতালগুলিও রেহাই পায়নি। আক্রমণকারীদের বীর কাশ্মীরিরা প্রতিরোধ করেছিল যারা শ্রীনগর বিমানবন্দর দখলের পাকিস্তানি হানাদারদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছিল।
ধ্বংসের সেই পটভূমিতে, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজা মহারাজা হরি সিং ভারত সরকারের কাছে সমর্থন চেয়েছিলেন এবং তার রাজত্বকে পাকিস্তান এবং তার হিংস্র হানাদারদের দ্বারা লুণ্ঠিত হতে বাঁচাতে ভারতের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। এরপর ভারতীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণ শুরু করে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরকে সুরক্ষিত করে। কুঠার, তলোয়ার ও বন্দুক দিয়ে সজ্জিত হাজার হাজার লস্করকে ভারতীয় সেনারা পিছনে ঠেলে দেয়।