সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেমে প্রথমার্ধ কিছুটা ভাল খেললেও তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ৫৫ মিনিটি প্রথম গোল খাওয়ার পর ৭৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে মালদ্বীপের কাছে হেরেছে জামাল ভুঁইয়ার দল।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) মালের জাতীয় স্টেডিয়ামে কিছুটা আধিপত্য নিয়ে ম্যাচটা শুরু করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠে গ্যালারিভরা দর্শকের সুবিধা নিয়ে তেতে ওঠার চেষ্টা করে মালদ্বীপ। তবে ম্যাচের গতি ধরতে খুব একটা সময় নেয়নি বাংলাদেশ। রক্ষণ ঠিক রেখে সহসাই আক্রমণ সাজাতে থাকেন মতিন-বিপলুরা।
গোছানো ফুটবলে মালদ্বীপের রক্ষণ ব্যস্ত রাখে জামালরা। একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে নামে বাংলাদেশ। ৪-১-৪-১ ছকে সোহেল রানা ও রহমত মিয়া শুরু থেকে খেলছেন।
এরই ধারাবাহিতায় ম্যাচের শুরুতেই দারুণ একটা সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ডি-বক্সের ভেতরে বল পেয়ে গোলবারে শট নেন বিপলু। দুর্বল শটটা সোজা চলে যায় মালদ্বীপের গোলকিপার ফয়সালের গ্লাভসে।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে প্রথম বড় সুযোগটা পায় মালদ্বীপ। বাংলাদেশের রক্ষণের সিক্স ইয়ার্ডের বাঁ পাশে প্রায় ফাঁকায় থাকা আকরাম আব্দুল ঘানি বল পাঠিয়ে দেন বারের বাইরে দিয়ে।
৪৪ মিনিটে আলী আশফাকের ফ্রি-কিক থেকে আলী ফাসিরের প্লেসিং ক্রস বারের অনেক ওপর দিয়ে যায়। যোগ করা সময়ে আলী আশফাকের ফ্রি-কিক গোলকিপার জিকো ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন।
প্রথমার্ধে দু’দলের এই উত্তেজনাকর লড়াই বিরতির পর ধরে রাখতে পারেনি লাল সবুজের দল। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট না পেরোতেই গোল হজম করে বসে। ৫৫ মিনিটে হামজা মোহাম্মদের দারুণ বাইসাইকেল কিকে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। এরপর ৭৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বাংলাদেশের জালে দ্বিতীয়বারের মতো বল জড়ান মালদ্বীপের আলী আশফাক।
ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড দেখে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন তারিক। আর শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর এই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেন ভারত ম্যাচের নায়ক ইয়াসিন আরাফাত। নেপাল ম্যাচে তাকে ছাড়াই মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।