দলীয় প্রতীকে ভোট রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: কবিতা খানম

1934
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচনে দলীয় প্রতীক এড়ানো গেলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার এটা রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয় না।

তিনি বলেন, তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হওয়ায় একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করায় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। তাই দলীয় প্রতীক পরিহার করা গেলে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আরও কমে আসতো।

তাহলে কমিশনের এই বিষয়ে কোনো সুপারিশ থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, কমিশন এই বিষয়ে কোনো সুপারিশ দেবে না। কারণ এটা কমিশনের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।

এই বিষয়ে কমিশনে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এই বিষয়ে কমিশনে কোনো কথা হয়নি।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ) আইন সংশোধন করে দলীয় প্রতীকে ভোট করার বিষয়টি সরকার যুক্ত করলে, কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন কমিশন এই সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে।

বর্তমানে সিটি করপোরেশনের মেয়র, পৌরসভা মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা পরিষদের তিন পদে (চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান) দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। স্থানীয় সরকারের একমাত্র জেলা পরিষদ নির্বাচনে এখনো নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হয়।

ইসি’র সংশ্লিষ্ট শাখা জানায়, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর দেশে ২৩৪ পৌরসভায় মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হয়। এই ভোটের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহারের যাত্রা শুরু হয়। তবে শুরু থেকেই নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করার জন্য বিভিন্ন সময় অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন