ডিবি হেফাজতে সেই ১৮ তরুণ

1970
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বারিধারা থেকে একটি কোম্পানির ১৮ কর্মী গাজীপুরের একটি রিসোর্টের উদ্দেশে রওনার দেয়ার পর তাদের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। রাতে স্বজনরা জানতে পারেন তাদেরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আটকদের স্বজনরাও মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের অভ্যর্থনা কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, তারা যে কোম্পানিতে কাজ করেন, সেটি অনুমোদনহীনভাবে অনলাইনে সুদের ব্যবসা চালাচ্ছিল। তাদের আটক করে তথ্য নেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, ই-কমার্স ব্যবসায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আর এই ১৮ জন একটি অনলাইন কোম্পানিতে কাজ করেন।

রিসোর্টের মালিক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ওই কোম্পানির কর্মীরা দিনভর থাকার বুকিং দিয়েছিল। রাতে থাকার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছিল। তাদের খাবার প্রস্তুত ছিল, রুমগুলোও খালি ছিল। কিন্তু তারা রিসোর্টে আসেননি।

নিখোঁজদের একজন দেবাশীষ দে’র ভাই দেব্যোজিৎ দে বলেন, তার ভাই দেবাশীষ সকাল ৬টায় বাসা থেকে বের হয়। সকাল ১০টা থেকে তার মা দেবাশীষকে ফোন করলে ফোন বাজছিল, কিন্তু কেউ ধরছিল না। তখন তার বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে আদাবর থানায় যান অভিযোগ দিতে।

আদাবর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মাধব চৌধুরী বলেন, ছেলে নিখোঁজের অভিযোগ নিয়ে দেবাশীষের বাবা দুলাল চন্দ্র দে থানায় এসেছিলেন। তাকে ঘটনাস্থলে থানায় যেতে বলা হয়েছে।

আটকের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, তারা প্রত্যেকে অনলাইনে সুদের ব্যবসা করে। চায়নার মালিক সবাই। তারা বাংলাদেশিদের ব্যবহার করে ২ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে একমাসে ৪ হাজার টাকা নেয়। মাইক্রোক্রেডিট দেখিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মে অনুমোদিত এই ব্যবসা বিদেশিরা এসে মহজনী ব্যবসার মতো করছে। এটার কোনো অনুমোদন নেই।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন