ইএফডি মেশিন নিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টালো এনবিআর

1980
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ইএফডি মেশিন নিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টালো এনবিআর
ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন স্থাপন নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআর-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সংগে কথা বলে জানা গেছে, শুরুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো সরকার ইএফডি’র খরচ বহন করবে। এখন দেখা যাচ্ছে, এতে বিপুল খরচ হচ্ছে। সে কারণে দরপত্র অনুযায়ী শুধু মেশিনের দাম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হবে। তবে এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় এনবিআরই বহন করবে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের টাকা দিয়ে ভ্যাট মেশিন কিনতে হবে। এই জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন থাকতে হবে।

সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা বলেন, দেশে আড়াই লাখেরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এনবিআর-এর ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে। ইএফডি মেশিনের দাম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হবে। তবে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এনবিআরই বহন করবে। এজন্য এককালীন অথবা তিন মাসের কিস্তিতে মেশিনের দাম পরিশোধ করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। দুই বছর আগে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইএফডি মেশিন বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো এনবিআর-এর। এখন পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামে তিন হাজার ৩৯৩টি দোকানে মেশিন বসানো হয়েছে এবং এসব মেশিন বিনা মূল্যে সরবরাহ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

পাশাপাশি ইএফডিতে কেনাকাটায় উৎসাহিত করতে এরই মধ্যে লটারি চালু করেছে এনবিআর। প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার দেওয়া হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বলেছে, এককালীন বা কিস্তিতে ইএফডি মেশিন ভেন্ডরদের কাছ থেকে কিনতে হবে। প্রতিটি মেশিনের দাম পড়বে এককালীন ২০ হাজার ৫৩৩ টাকা। তিন কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করা যাবে। প্রথম কিস্তিতে ১০ হাজার ৫৩৩ টাকা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তিতে পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বিষয়টি বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ইএফডি নিয়ে এনবিআর এক তরফা সিদ্ধান্ত নিলেও এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। ব্যবসায়ীরা নিজেদের টাকা মেশিন কিনে নেবে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সবাই যাতে ঠিক সময়ে এটি পায় সে বিষয়টি এনবিআরকে নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি তাদের ইচ্ছা মতো কোনো দোকানে বসাবে আর কোনো দোকানে বসাবেনা এটা যেন না হয়।

জানা গেছে, চলতি বছরের জুনের মধ্যে ১০ হাজার ইএফডি মেশিন বসানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে এনবিআর। যদিও ইতিপূর্ব ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১০ হাজার দোকানে ইএফডি মেশিন বসানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা সংস্থাটি এখন পর্যন্ত মাত্র তিন হাজার ৩৯৩টি মেশিন বসানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে এতোদিন মেশিন আমদানি করা যায়নি। এছাড়া এনবিআর-এর কাছে থাকা মেশিনগুলোও গত দেড় বছর করোনা’র কারণে অধিকাংশ সময় দোকানপাট বন্ধ থাকায় বসানো যায়নি। এখন পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যাবে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন