আর সারাদেশে শক্তিক্ষয় নয়। এবার শুধুই শাসন কেন্দ্রের পতন নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি নিয়ে নামতে চায় বিএনপি। তবে তাড়াহুড়ো নয়। বরং সময় নিয়েই সেই আন্দোলনের ছক কষছেন দলটির নীতি নির্ধারকরা। বলছেন, সময়মতোই ডাক আসবে আন্দোলনের।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, চেয়ারপার্সনের মুক্তিসহ দাবি আদায়ে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সমঝোতার ব্যাপারে আশাবাদী নয় বিএনপি। তাই রাজপথে শক্তি প্রদর্শনকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছে দলটি।
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন,’আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে, মানুষের অধিকারের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে তো এভাবে সমঝোতা হবে না। অন্যায়, অত্যাচার, অব্যবস্থাপনা, মানুষের ভোটের অধিকার হরণ, এগুলোতে যদি মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হয় তবে আন্দোলন ছাড়া আওয়ামী লীগ ঠিক রাস্তায় আসবে না।’
তৃণমূল থেকে ক্রমেই আন্দোলনের চাপ বাড়ছে। তা মাথায় রেখেই চলছে প্রস্তুতি। বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম জানান,’বিএনপিকে অপসারণের জন্য আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে যা যা করেছে, আমরাও একই পথ অনুসরণ করবো। হয়তো অফিস যাত্রীকে দিগম্বর করা হবে না। কিন্তু গণতন্ত্র সম্মত পথে, বলাই বাহুল্য যে, রাজধানী কেন্দ্রীক আমাদের আন্দোলন হবে। তারা বলেছিলো না তারা বঙ্গ ভবনে বাতাস বন্ধ করে দিবে। আমরাও বাতাস বন্ধ করতে পারি কিনা? সে ধরণের একটা উদ্যোগ তো নিবো।’
আন্দোলনের কৌশলেও আসছে পরিবর্তন।বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানান,’রাজধানীতে অবশ্যই একটি ভাইটাল রোল প্লে করতে হবে, যাতে তৃণমূল আশ্বস্ত হয় যে, এবার নামলে অবশ্যই সফল হতে পারবো।’