আইন অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার নিয়ম থাকলেও করোনার অজুহাতে তা বাদ দিতে চাচ্ছে ইসি। এর পরিবর্তে স্কুল-কলেজে তালিকা হালনাগাদের সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। তবে এতে ঘোর আপত্তি মাঠ পর্যায়ের ইসি কর্মকর্তাদের। তারা বলছেন, এতে তালিকাভুক্ত হতে পারে রোহিঙ্গা ও অবৈধ ভোটাররা। সাবেক এক নির্বাচন কমিশনার বলছেন, এ সিদ্ধান্ত হবে ইসির জন্য আত্নঘাতী।
নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা অনুযায়ী প্রতি বছর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে হালনাগাদ হলেও এরপর আর হয়নি। দুই বছরে হালনাগাদ না হওয়ায় ১৮ বছরের উর্ধ্বে অনেকেই বাদ পড়েছেন তালিকা থেকে, পাননি জাতীয় পরিচয়পত্রও।
এ অবস্থায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক করে ইসি। এতে করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা হালনাগাদের পরামর্শ দেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। যদিও তাদের যুক্তি একেবারেই গায়ে মাখেনি ইসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
পরে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে আর বাড়ি বাড়ি নয়, তালিকা হালনাগাদ হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর যারা বাদ পড়বে তাদের ভোটার করা হবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন অথবা কাউন্সিল অফিসে।
এক্ষেত্রে ২০০৬ সালের পহেলা জানুয়ারি কিংবা তার আগে যাদের জন্ম তাদের যুক্ত করা হবে ভোটার তালিকায়। যদিও এ সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হবে এ মাসের শেষে কমিশন সভায়।
ইসির এই অবস্থানকে আত্মঘাতী ও আইনের লঙ্ঘন দাবি করে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলছেন, এই নিয়ম চালু হলে বাদ পড়বে অনেক ভোটার।
জটিলতা এড়াতে, অনলাইনের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকদের।