অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটনের গুরুত্ব অবশ্যম্ভাবী: প্রধানমন্ত্রী

1979
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটনের গুরুত্ব অবশ্যম্ভাবী: প্রধানমন্ত্রী
আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের আয়োজন করা হয়েছে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য পর্যটন’। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডসহ বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নসহ দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য পর্যটনের গুরুত্ব অবশ্যম্ভাবী।

বর্তমান বিশ্বে পর্যটন শিল্প সবচেয়ে শ্রমঘন এবং সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে স্বীকৃত উল্লেখ করে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও স্বতস্ফূর্তভাগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

পর্যটন শিল্প বর্তমান বিশ্বে শ্রমঘন এবং সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে স্বীকৃত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে। সরকারের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সংগে কাজ করতে হবে। পর্যটন কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। এ ব্যাপারে টেলিভিশন, বেতার ও ডিজিটাল মাধ্যমগুলোকে কাজ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃষ্টি-ঐতিহ্য আর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে অসংখ্য নদী নালা, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় স্থান, পাহাড়, বন, জলপ্রপাত, চা বাগান এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। বিশ্বের বৃহত্তম অবারিত বালুকাময় সমুদ্র সৈকতটি বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে বিস্তীর্ণ হাওড়, চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড় এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। সবুজে ঘেরা গ্রামীণ নয়নাভিরাম সৌন্দর্যও ছুটির দিনে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ হতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে এই শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দায়িত্বশীল পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং এর সুফল যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া এই দিবসের লক্ষ্য। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) উদ্যোগে ১৯৮০ সাল থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালন করা হয়।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন