যে কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ট্রেনে ছিনতাই-ডাকাতি

1914
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ঠেকানো যাচ্ছে না ট্রেনে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি। সবচেয়ে বেশি দুর্বৃত্তদের কবলে পড়ছেন ছাদে উঠা অবৈধ যাত্রীরা। লোকবল সংকটের কারণে চলন্ত ট্রেনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। আর রেলওয়ে বলছে, অবকাঠামোগত সক্ষমতা না থাকার কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না যাত্রীদের ছাদে ওঠা।

আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য রেল যাত্রীদের পছন্দের শীর্ষে থাকলেও যাত্রাপথে চুরি ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন যাত্রীরা। যাত্রীবেশে ট্রেনে উঠে সুযোগমত টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন অপরাধীরা।

একটি আন্তঃনগর ট্রেনে এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী থাকলেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে মাত্র ২-৩ জন রেলওয়ে পুলিশ। ফলে রাতের ট্রেনগুলোতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে অপরাধীরা।

যাত্রীরা বলেন, পরশুদিনও চোখের সামনে ছিনতাই হয়েছে। স্টেশনে এত ভিড় ছিল যে এর মধ্য থেকে আমার ফোন, মানিব্যাগ সবই নিয়ে গেছে।

মেইল, কমিউটার আর লোকাল ট্রেনগুলো ঢাকার বাইরে হয়ে যায় কানায় কানায় পূর্ণ, বগি ছাড়িয়ে যাত্রী ওঠে ছাদেও। এসব ট্রেনের অধিকাংশতেই থাকে না নিরাপত্তাকর্মী।

যাত্রীরা বলছেন, লোকাল ট্রেনগুলোতে অপরাধ হয় বেশী। সম্প্রতি জামালপুর কমিউটারে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে নিহত হন দুই যাত্রী।

রেলওয়ে বলছে, ৯৫ শতাংশ স্টেশনে অবৈধ যাত্রী প্রবেশ ঠেকানো অবকাঠামোগত সক্ষমতা না থাকায় বন্ধ করা যাচ্ছে না ছাদে ভ্রমণ।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ছোট স্টেশনে যাত্রীদের বের হওয়া বা ঢুকার জন্য কোনো আলাদা বেষ্টনী নেই। তাই যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে অবৈধ যাত্রীরা প্রবেশ করতে পারছে। তারা ট্রেনের ভেতরে ঢুকতে না পারলে ট্রেনের ছাদে উঠছে। অনেকে টিকিট কেটেও ছাদে বসতে পছন্দ করেন।

এসব দেখভালের দায়িত্ব রেলওয়ে পুলিশের হলেও তারা বলছেন, লোকবল সংকটের কারণে নিশ্চিত হচ্ছে না যাত্রী নিরাপত্তা।

ঢাকা জেলা রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমাদের অফিসার ফোর্সের সংখ্যা কিছুটা কম আছে। যার কারণে ট্রেনে যে পরিমাণ পুলিশ থাকার কথা সে পরিমাণে পুলিশ আমরা দিতে পারছি না।

এ ছাড়া চলতি বছর চলন্ত ট্রেনে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক যাত্রী।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন