বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর নেতা নরেন্দ্র মোদি। টানা দুই মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে নিজ মন্ত্রিসভার ওপর রয়েছে তার একাধিপত্য। স্বভাবতই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মোট সম্পদের হিসাব-নিকাশ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে। সম্প্রতি সেসব তথ্যও সামনে এসেছে।
দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখন প্রধানমন্ত্রী মোট সম্পদ ৩ দশমিক শূন্য ৭ কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালে তার সবশেষ ঘোষণায় এ তথ্য জানা গেছে। গত বছর মোদির মোট সম্পদ ছিল ২ দশমিক ৮৫ রুপি। সেই হিসাবে এ বছর তার আয় ২২ লাখ রুপি বেড়েছে।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৮০ রুপি। হাতে নগদ রয়েছে ৩৬ হাজার ৯০০ রুপি। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গান্ধীনর ব্র্যাঞ্চে তার ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার বেড়েছে। মূলত এ কারণে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। সেই ডিপোজিটেরই পরিমাণ ১ কোটি ৮৩ লাখ রুপি। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬ কোটি রুপি।
প্রধানমন্ত্রী মোদি সাধারণত শেয়ারবাজার বা মিউচাল ফান্ডে কোনও বিনিয়োগ করেন না। যদিও তার ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে সঞ্চিত রয়েছে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৫১ রুপি। লাইফ ইন্স্যুরেন্সে অর্থ আছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৭ রুপি।
২০১২ সালে লার্সেন অ্যান্ড টুবরো ইনফ্রা বন্ডে বিনিয়োগ করেন মোদি। সেখানে তার কিছু অর্থ আছে। হাতে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩১ টাকার মূল্যের চারটি সোনার আংটি রয়েছে। ১ দশমিক ১ কোটি রুপির একটি বসতভিটে রয়েছে। তবে এ সম্পত্তির মাত্র ২৫ শতাংশের মালিক তিনি।
২০০২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দুই মাস আগে এটি ১ দশমিক ৩ লাখ রুপিতে কেনেন মোদি। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কোনো সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করেননি তিনি। তার নামে কোনো কোনো ঋণ নেই।