লোভে বিষ খাচ্ছেন না তো?

2001
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

মুখরোচক আর জিভে জল আনা খাবার হিসেবে ফুচকা-চটপটির জুড়ি মেলা ভার। পথের ধারের দোকানগুলো সব সময়ই থাকে ক্রেতাদের ভীরে জমজমাট। তবে অনেকেই এর রন্ধন প্রণালীর খবর রাখেন না। বেশীরভাগ ফুচকা ভাজা হয় বহুলব্যবহৃত তেলে। চটপটিতে দেয়া টক কবে বানানো হয় তা বিক্রেতাও মনে রাখতে পারেন না, আর প্লেট গ্লাস পরিষ্কার হয় একই পানিতে।

স্কুল, কলেজ, কোচিং এর সামনে দোকান ঘিরে থাকা জটলাই বলে দেয় ফুচকা-চটপটির জনপ্রিয়তা। জিভে জল আনা খাবারটির জন্য সকাল-বিকেল ভিড় করে তরুণ-তরুণী থেকে বয়স্করা।

শিশুদের ফুচকা খাওয়াতে আনা অভিভাবকরা বলেন, শিশুদেরকে কোনোভাবেই এসব খাওয়ানো থেকে থামানো যায় না, যদিও সকলে এই খাবারের অপকারিতা সম্পর্কে জানে, তারপরও বাচ্চার আবদারের সামনে বাধ্য হতে হয় তাদের।

দীর্ঘ বন্ধের পর স্কুল-কলেজ খোলায় কাটতি বেড়েছে মুখরোচক খাবারের। পথের ধারে খোলা জায়গায় বিক্রি হয় দেখেও রসনা তৃপ্তির কাছে হার মানে স্বাস্থ্য সচেতনতা।

ফুচকা খেতে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, অনেকদিন পর স্কুল চালু হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই ফুচকা খাচ্ছেন তারা।

পথের ধারের এসব দোকানে অল্প পানিতেই কাজ সারতে হয়। তাই একই পানিতে চলে গ্লাস-প্লেট ধোয়া থেকে অন্য কাজ। জায়গার অভাবে বাসনকোসন রাখতে হয় রাস্তার ওপর।

এতো গেল পরিবেশনের খবর, কিন্তু কোন পরিবেশে ভাজা হয় এসব খাবার?

রাজধানীর লালবাগ। সরু গলি পার হয়ে বাসাতে ঢুকতেই দেখা যায় খাবারের ওপর একরকম দাঁড়িয়েই কাজ করছেন কারিগররা। গরমে সবাই ঘেমে নেয়ে একাকার। কুচকুচে কালো তেল-ই বলে দেয় কতবার ব্যবহার হয়েছে তার হিসেব রাখা মুশকিল।

অন্যদিকে গ্রিন রোডের এক বাসায় খাওয়া-ঘুম-রান্না সবই এক ঘরে। তেল চিটচিটে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ভাজা হচ্ছে ভেলপুরি। খাবার ঢাকার কাপড়টিও অপরিষ্কার।

এসব কারখানা থেকেই নামি-দামী সব দোকানে চলে যায় অতি প্রিয় ফুচকা-ভেলপুরির উপকরণ।

জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর ফুচকা, ভেলপুরি আর চটপটি খেয়ে পেটের পিড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নগরবাসী।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন