রিমান্ডে যা বললেন রাসেল

1922
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ইভ্যালি’র এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতারের পর তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ছিলো রিমান্ডের প্রথম দিন।

এই দিনের জিজ্ঞাসাবাদে কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি বলে দাবি করেছেন মোহাম্মদ রাসেল। তিনি বলেন, গ্রাহক জেনেবুঝেই পণ্য অর্ডার করেছে, যারা ডেলিভারি পায়নি ভবিষ্যতে টাকা পেয়ে যাবে। এখানে প্রতারণার কোনো বিষয় ছিলো না।

গ্রাহকদের টাকা আটকানোর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল দাবি করেন, জুলাই থেকে এই পর্যন্ত মোট তিন লাখ অর্ডার ডেলিভারি করেছে ইভ্যালি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা (১০% অ্যাডভান্স) এবং ইভ্যালিতে কেনাকাটায় একের পর এক ব্যাংক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ইভ্যালি’র নগদ জমার পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে রিফান্ড প্রক্রিয়ার গতি ধীর হয়ে যায়।

পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর জানায় গণমাধ্যমগুলো। বলা হয়, স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক সময় পণ্য ডেলিভারি দিতে পারেননি ইভ্যালি। যাদের পণ্য ডেলিভারি দিতে পারেনি তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। অনেকের ফেরত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও দাবি করেছেন রাসেল।

তদন্ত সূত্র জানায়, ইভ্যালি’র বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপারেশনাল পদে রাসেল-এর স্ত্রী (চেয়ারম্যান) শামীমা নাসরিন-এর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুরা ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (টেকনিক্যাল) শামীমা’র বোনের স্বামী মামুনুর রশীদ, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান শামীমা’র বোন সাবরিনা নাসরিন, পরিচালক (পারচেজ অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) শামীমা’র বন্ধু আতিকুর রহমান। এছাড়াও শামীমা’র দুই ভাগ্নে জাহেদ ও জুবায়ের মোটরসাইকেল বিক্রি সংক্রান্ত ডেলিভারির বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতেন। তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ইভ্যালি’র অফিসে অভিযান পরিচালনা করেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি যাচাই-বাছাই করেছে পুলিশ।

এর আগে মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন-এর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া অর্ডারগুলো ফিরিয়ে দিতে পারেননি। মার্চেন্টদের উৎপাদন কম ছিলো। কারো সংগে প্রতারণা করা হয়নি।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ সাংবাদিকদের জানান, ‘গ্রাহক, মার্চেন্টরা টাকা পান, এটা তো অস্বীকার করা হয়নি। এটা একটা বিজনেস ডিল। গ্রাহকের টাকা বা মালামাল ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া আছে। আত্মসাৎ করা হয়নি।’

তাই ইভ্যালি আইনিভাবে কোনো অপরাধ করেনি বলেও জানান আসামিপক্ষের এই আইনজীবী।

ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ গণমাধ্যমকে আরও বলেছিলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলে আমরা আবেদন করেছি। এই পর্যন্ত ৭০ লাখ গ্রাহককে সেবা দিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। এই বছরের এপ্রিল থেকে তিন লাখ গ্রাহকের অর্ডার নিশ্চিত হয়েছে। আসামিকে জামিন দিলে, সব গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’

শেয়ার করতে ক্লিক করুন