সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে, তাতে কেউ না এলে সে দায়িত্ব তাদেরই বলে জানিয়েছেন ১৪ দলীয় জোট নেতারা। জাতীয় নির্বাচনের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি ব্যক্তি-সংস্থার এখতিয়ার বহির্ভূত মন্তব্য-বিবৃতিতে কিছু আসে-যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের নেতারা।
২০০৮-এর নির্বাচনে হেরে ফল প্রত্যাখ্যান করেছিলো বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে যাবে না জানিয়ে নেমেছিল সরকার পতনের আন্দোলনেও।
এর এক পর্যায়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ডাকেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তখন একের পর এক চলে নজীরবিহীন পেট্রোলবোমা হামলা। পুড়তে থাকে যানবাহন। বাড়তে থাকে মৃত্যু ও ভয়াবহতা। তারা বয়কট করলেও অনুষ্ঠিত হয় দশম সংসদ নির্বাচন। টানা ৯২ দিনের সেই অবরোধ শেষ কোনো ঘোষণা ছাড়াই।
এতে মাঠের রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বিএনপি। ২০১৮-এর সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া না-নেয়া নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর ভোটে আসে তারা। তবে ঘটে ফল বিপর্যয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেও, দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে না যাওয়ার কথা বলছে দলটি। তবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের এই মনোভাব নিয়ে কি ভাবছেন ১৪ দলীয় জোট নেতারা?
বিএনপি জোট বয়কট করলে, নির্বাচন হবে কি-না এ প্রশ্নে ১৪ দলীয় জোটের মনোভাব স্পষ্ট করেছেন ১৪ দলের নেতারা। সেক্ষেত্রে কোনো দল বা জোটের বয়কটের মধ্যেও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে না বলেও মনে করেন তারা।
নির্বাচন বয়কট যে কোনো দলের জন্যই আত্মঘাতী উল্লেখ করে, সে ভাবনা থেকে সরে এসে বিএনপিকে ভোটের প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ১৪ দলীয় জোট নেতারা।