নায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়া দুই বিচারক উচ্চআদালতে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে ক্ষমা চান বিচারিক আদালতের দুই হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, অসাবধানতাবশত ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে রিমান্ড আদেশ দেয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দুই বিচারক। পাশাপাশি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চান তারা।
এই বিষয়ে গণমাধ্যম জানতে চাইলে হাইকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার আবেদনের কোনও কপি আমরা এখনও পাইনি। না দেখে বলতে পারছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই বিচারকের ব্যাখ্যাসংক্রান্ত আবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পৌঁছেছে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। আজ সেটি আদালতে জমা দেয়া হবে।
পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দেবেন।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২২ আগস্ট কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতেই পরীমণির জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। তখন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। এতদিন পরে শুনানির দিন ধার্য করায় পরীমণির আইনজীবীরা হাইকোর্টে যান। তারা দ্রুত সময়ে জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন শুনানির দিন এগিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বরের বদলে ৩১ আগস্ট ধার্য করেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।
এরপর ৩ দফায় মোট ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট ৪ দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট দুই দিন ও ৩য় দফায় ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন।