সরঞ্জাম ক্রয়ে অনিয়ম, আবারো পেছাচ্ছে জনশুমারি

1932
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না জনশুমারি প্রকল্পের। শুরুতে অস্বাভাবিক ব্যয় ধরা হলেও পরিকল্পনা কমিশনের দুই দফা আপত্তির মুখে তা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়। সবশেষ ট্যাব কেনার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হওয়ায় আপত্তি দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে আরেক দফা পিছিয়ে যাচ্ছে জনশুমারি। এমন পরিস্থিতিকে বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর হওয়ার কথা ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা। এ জন্য কেনার কথা প্রায় তিন লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব।

পরিসংখ্যান ব্যুরো- বিবিএসের ডাকা দরপত্রে অংশ নেয় ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স ও ওয়ালটন ডিজি টেক। ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকার বিপরীতে ওয়ালটন দর দেয় চারশ কোটি টাকা। কিন্তু বিবিএস কম দামে কাজ না দিয়ে বেশি দামে দেয়ার প্রস্তাব করে। যা আইনসম্মত নয় বলে মনে করে ক্রয় সংক্রান্ত মন্তিসভা কমিটি। ফলে শেষ মুহুর্তে এসে পিছিয়ে যায় জনশুমারি।

বারবার বিতর্ক ওঠায় বিব্রত পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টা নিয়ে আমি খুব চিন্তার মধ্যে আছি। এই প্রকল্পটা যে খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলা অপেক্ষা রাখে না। প্রথমে করোনার জন্য পিছিয়েছে, আর দ্বিতীয় হলো এই বিষয় ক্রয়ের কারণে”।

তবে বিবিএস কর্মকর্তাদের দাবি, আবেদনে সমস্যা থাকায় ওয়ালটনকে বাদ দেয়া হয়েছে। যদিও ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হননি কর্মকর্তারা।

শুরু থেকেই বিতর্কের মুখে এই প্রকল্প। ২০১১ সালে ৫ম জমশুমারিতে ব্যয় হয় দুইশ ৩৭ কোটি টাকা। দশ বছর পর ষষ্ঠ শুমারির জন্য বিবিএস ব্যয় ধরে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এমন অস্বাভাবিক প্রস্তাবে আপত্তি তোলে পরিকল্পনা কমিশন। কাটছাঁট করে ব্যয় নামিয়ে আনা হয় দুই হাজার দুইশ কোটিতে। কিন্তু সেটিও বেশি মনে হয় কমিশনের। ফলে আরেকদফা ব্যয় কমিয়ে সাড়ে ১৭শ কোটি নির্ধারণ করে বিবিএস।

তবে প্রযুক্তির যুগে এমন শুমারি কতটা জরুরী তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এমন প্রশ্নে একমত পরিকল্পনামন্ত্রীও। তার মতে, জন্ম মৃত্যুর হালানাগাদ তথ্য রাখা সম্ভব হলে জনশুমারির জন্য আলাদা প্রকল্পের প্রয়োজন নেই।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২১ সালের একটি জরিপ বলছে, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৭ কোটির কিছু কম।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন