সময়ের পরিক্রমায় বেড়েছে ইন্টারনেটের প্রসার বাড়ছে এর গ্রাহক সংখ্যাও। বিশেষ করে করোনাকালে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার অনেক বেশি। ইন্টারনেট সেবাদাতাদের তথ্য মতে, দেশে প্রতি সেকেন্ডে ২ হাজার ৬শ’ জিবি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করেন ১২ কোটিরও বেশি গ্রাহক। দিনের বেলা এর ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ কাজে হলেও রাতে ভিন্ন।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, আইএসপিএবির তথ্য বলছে, রাত ১২টা থেকে ভোর ৬ পর্যন্ত ইন্টারনেটের অর্ধেকই খরচ হয় অকাজে। ওই ৬ ঘণ্টায় পর্নোগ্রাফি, অনলাইন গেম, টিকটিক আর লাইকি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বেশিরভাগ ব্যবহারকারি।
দেশে সুস্থ বিনোদনের সুযোগ কম। একই সাথে করোনার কারণে বেড়েছে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা। এমন বাস্তবতায় অনেকেই ইন্টারনেটে সন্তুষ্টি খুঁজছেন বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
ইন্টারনেটের অপব্যবহারের কারণে ব্যক্তির মাঝে যেমন একাকিত্ব, হতাশা ও উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে তেমনি সমাজেও দেখা দিচ্ছে নানা অস্থিরতা। সংকট সমাধানে সুস্থ বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষাক্রমে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার অন্তর্ভুক্তি এবং সরকারি নজরদারির পরামর্শ সমাজবিজ্ঞানীদের।