সাত মাস পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফোনালাপে চীন-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতের দিকে না গড়ায়, তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন দুই ক্ষমতাধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে এ কথা জানায়।
গত কয়েক দশকের মধ্যে বর্তমানে ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্ক তলানিতে রয়েছে। জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ নিয়ে দ্বিতীয় বার ফোনে কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউস জানায়, দুটি দেশের যেসব বিষয়ে স্বার্থের যৌথতা রয়েছে এবং যেসব বিষয়ে স্বার্থ, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা রয়েছে সেসব নিয়ে বিস্তারিত, কৌশলগত আলোচনা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে জো বাইডেন প্রথম শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপ করেছিলেন। এরপর থেকে জলবায়ূ পরিবর্তন, মানবাধিকার ও কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে স্বচ্ছতা নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দেয়।
এই কয়েক মাসে দুই পক্ষ প্রায় হঠাৎ হঠাৎই একে অপরকে ঘায়েল করে বসে। কখনও কড়া ভাষায় আক্রমণ, কখনও বা এক দেশ আরেক দেশের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ বিশ্বে শান্তি, শৃঙ্খলা ও উন্নয়নমূলক অগ্রগতিতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথা জানান। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতের পথে না এগোয় তার দায়দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা।’
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বেশ দুরুহ সময় পার করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসন এবার ইঙ্গিত দিল যে, আফগানিস্তান থেকে সরে আসার ফলে চীনের পক্ষ থেকে ক্রমশ ঘণীভূত হতে থাকা হুমকি মোকাবিলায় বেশি মনযোগী হতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব। অন্যদিকে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতাকে দ্রুত কাজে লাগাতে চাইছে চীন।