না ফেরার দেশে আম্পায়ার নাদির শাহ

1849
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন দীর্ঘ দিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত আম্পায়ার নাদির শাহ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় দিকে মারা গেছেন এই আম্পায়ার। নাদির শাহর বড় ভাই জাহাঙ্গীর শাহ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এ খবর। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) জুমার পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

ক্যানসারে আক্রান্ত দেশের ক্রিকেটের সুপরিচিত মুখ আম্পায়ার নাদির শাহ অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে কয়েক মাস স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। এমনকি ডাক্তাররা তাকে আম্পায়ারিংয়ে ফেরার জন্য পরামর্শও দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দেন তিনি। এতে শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়।

মাসখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাদির শাহর কয়েকটি ছবি ভেসে বেড়াচ্ছিল। যা ক্রিকেট অনুরাগী মহলে বেশ নাড়া দেয়। জীর্ণ-শীর্ণ শরীর, হাত ও পা শুকিয়ে গেছে, যা চোখ ভিজিয়ে দেওয়ার মতো। ২০১৯ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগের ম্যাচ পরিচালনা করার সময় মাঠেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, ধরা পড়ে ক্যানসার।

এরপর থেকেই চলে চিকিৎসা, যদিও তা নিরাময়যোগ্য অবস্থায় ছিল না। হুইলচেয়ারে করে সময় কাটছিল তার। কিছুদিন আগে সুস্থ হওয়ার বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলেন ফের আম্পায়ারিংয়ে ফিরতে চান। কিন্তু নাদির শাহর শরীর ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যেতে থাকে। ক্যানসারের পাশাপাশি তার শরীরে আরও নানাবিদ সমস্যা দেখা দেয়। আইসিসির এই প্যানেল আম্পায়ারের চিকিৎসা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও দেশে। গত কয়েক মাসে বার তিনেক বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন।

১৯৬৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন নাদির শাহ। বড় ভাই জাহাঙ্গীরের মতো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে না পারলেও আশির দশকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ছিলেন নাদির শাহ। একাধারে খেলেছেন ভিক্টোরিয়া, বিমান, আবাহনী, মোহামেডানের মতো ক্লাবের হয়ে।

বগুড়ায় বাংলাদেশ বনাম কেনিয়ার মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাধ্যমে আম্পায়ারিংয়ের পথচলা শুরু তার। ২০১৩ সালে তাকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পরে ২০১৬ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হলে তিনি ক্রিকেটে ফেরেন। সবশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন