সফলভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর, এবার স্যাটেলাইট-২ নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। এরই মধ্যে স্যাটেলাইটের প্রকৃতি নির্ধারণে খসড়া রিপোর্ট দিয়েছে ফ্রান্সের প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপার্স। চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই ২০২৩ সালের মধ্যে প্রস্তুত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-টু। এর সফল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রযুক্তিতে স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি সম্ভব হবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ।
২০১৮ সালের ১২ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশে পা রাখে বাংলাদেশ। নির্বাচনী ইশতেহারেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের জন্য বছরের শুরুতে স্যাটেলাইটের ধরন ও প্রকৃতি নির্ধারণে ফ্রান্সের প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপার্স প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি একটি খসড়া রিপোর্ট দিলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পায়নি বিএসসিএল। তবে ২০২৩ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটলোইট-২ পুরোদমে প্রস্তুত হবে বলেও জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ কৃত্রিম উপগ্রহটি একটি জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইট বা ভূ-স্থির উপগ্রহ। এতে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হবে।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নিয়ে ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বরে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ও ২ এর কার্যক্ষমতার উপর ভিত্তি করে ৩ ও ৪ নিয়ে কাজ শুরু করবে বাংলাদেশ।