আগুনের দুই মাস পর হাশেম কারখানায় মাথার খুলিসহ ১৬০ হাড় উদ্ধার

1960
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের হাশেম ফুড কারখানায় আগুনের দুই মাস পর ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহের দুটি মাথার খুলিসহ ১৬০টি হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আলাদা আলাদা চারটি ব্যাগে করে হাড়গোড়গুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টম্বর) রাতে হাড়গুলো মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে এ হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে কথা হলে রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে খবর পাই হাশেম ফুডে আগুনের ঘটনায় মাথার খুলিসহ হাড়গোড় পাওয়া গেছে। পরে সেখানে দেখতে পাই ভবনটির চতুর্থ তলায় গলিত রেজিন ও ফয়েল পেপারের নিচ থেকে দুটি মাথার খুলি ও অসংখ্য হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো মিলিয়ে আলাদাভাবে চারটি ব্যাগে ভরা হয় এবং আলাদা চারটি সুরতহাল প্রতিবেদনও তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, একটি ব্যাগে পায়ের, কোমড়ের ও আঙুলসহ ১৫টি হাড় রয়েছে। আরেকটিতে পায়ের, কোমড়ের, হাতের আঙুলেরসহ ২৫টি, আরেকটিতে মাথার খুলি, ১৮ ইঞ্চি চুল, পায়ের, কোমড়ের ও মেরুদণ্ডের হাড়সহ ৪০টি হাড় এবং অপরটিতে মাথার খুলি, পায়ের, পাজরের, কোমড়ের হাড়সহ ৮০টি হাড় রয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিটি ব্যাগেই পুড়ে যাওয়া মানবদেহের অংশবিশেষ রয়েছে। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তাদের বয়স ও পরিচয় শনাক্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, হাড়গুলো পৃথক চারজনের।
এর আগে গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে আগুনে পুড়ে মারা যায় ৪৮ জন। আর হাসপাতালে মারা যায় তিনজন। হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া তিনজনের লাশ স্বজনদের কাছে দ্রুত হস্তান্তর করা সম্ভব হয়। তবে ৪৮টি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্তের পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে দুই দফায় ৪৫টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর বাকি তিনটি মরদেহের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট সম্পন্ন না হওয়ায় সেই লাশগুলো

শেয়ার করতে ক্লিক করুন