ধর্ষণচেষ্টা নয়, পরীমণিকে যৌন নিপীড়নের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ

1962
পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ঢাকা বোটক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা নয় তবে মারধর, হুমকি ও যৌন নিপীড়নের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জমা দেয়া অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা জানায়, পরীমণিকে চক্রান্ত করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় বোটক্লাবে।

প্রতিবেদনে ছয় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধ প্রতীয়মান হয় বলে’ উল্লেখ করা হয়।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন এই অভিযোগপত্র দেন।

গত ১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি সাভার থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

পরীমণির মামলা দায়েরের পর উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।

এরপর ১৪ জুন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসির, অমিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

মাদকের মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন