দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে সম্মাননা পেল বাংলাদেশ

1998
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

করোনাকালে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় শক্তিশালী ভূমিকা রাখায় দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) বিশেষ সম্মাননা পেল বাংলাদেশ।

উজবেকিস্তানের তাসখন্দে বার্ষিক সম্মেলন শুরুর আগে জমকালো অনুষ্ঠানে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা। আর এ আয়োজন থেকেই কোভিড পরবর্তী যুগের সূচনা দেখছে উজবেক সরকার।

যদিও দেশে দেশে বিপর্যস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠনে সামনে বহু চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বলে সতর্কবার্তা দিচ্ছে আইটিএফসি।

আলো ঝলমলে মঞ্চে বাংলাদেশ নামটি উচ্চারণের সঙ্গেই অনেকটা শিহরণ বয়ে গেল রুশ আর উজবেক ভাষাভাষীদের ভিড়ে বসে থাকা জনাকয়েক বাংলাদেশির মনে। ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন শোভা পাচ্ছে সার্কভুক্ত আট দেশের মধ্যে একমাত্র লাল সবুজের পতাকা।

ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গ্রুপ মনে করছে, করোনা সংকটেও প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা ধরে রাখার সঙ্গে কোনো বড় প্রকল্পের কাজ বন্ধ না করাই প্রমাণ করে ঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ। আর সম্মাননা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, এখন সময় সবাইকে নিয়ে সুষম উন্নয়ন পরিকল্পনার। আইটিএফসি তেল আমদানি, ব্যাংক সেক্টর, বাণিজ্যে বিনিয়োগসহ অনেকক্ষেত্রে বাংলাদেশে অসামান্য অবদান রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বিশ্বজুড়ে এখনও চোখ রাঙানি বন্ধ করেনি করোনা। সম্মেলনকেন্দ্রেও করোনার র‌্যাপিড টেস্টসহ নানামুখী ব্যবস্থা নিয়েছে আয়োজক দেশ।

যদিও অর্থনীতির ক্ষতি কাটাতে কী পরিমাণ ঝক্কি সামলাতে হয়েছে তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এসএমই আর শিল্পখাতে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান আইটিএফসি সিইওর।

ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড অ্যান্ড ফাইন্যান্স করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী হানি সালেম সোনবোল বলেন, অর্থনীতি যাতে ভেঙে না পড়ে সেজন্য আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তার সর্বোচ্চ প্রভাব সদস্য দেশগুলোতে দেখতে চাই। আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না আমরা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ এসএমই খাতে দিয়েছি। যাতে কেউ কর্মহীন না থাকেন।

করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও সবার জন্য সমৃদ্ধির বার্তা নিয়ে তাসখন্দে শুরু হয়েছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের বার্ষিক সভা।

পাঁচ দিনের আয়োজনে বিশ্বের ৫৭টি দেশের সরকার, অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও উন্নয়নকর্মীরা যোগ দিয়েছেন।

এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিও ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৭৫ শতাংশ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন