কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় ১৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৩ মার্কিন সেনা ও ২৮ তালেবান সদস্যও রয়েছে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এমন দাবি করেছে।
এতে আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। হামলার ঘটনায় বিশ্ব নেতাদের পাশাপাশি নিন্দা জানিয়েছেন তালেবানও। হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে নিজেদের বেশি সদস্য মারা গেছে বলেও উল্লেখ করেছে গোষ্ঠীটি।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে কাবুল বিমানবন্দর। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে প্রাণ হারান মার্কিন সেনা ও বেসামরিক আফগানরা।
হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরের হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। গোষ্ঠীটির দাবি, মার্কিন সেনা ও তাদের সহযোগিদের লক্ষ্য করেই আত্মঘাতি হামলা চালানো হয়েছে।
কাবুল বিমানবন্দরে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের নেতারা। নারকীয় এই হামলা সত্ত্বেও আফগানিস্তান থেকে নিজেদের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে আনা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ অবস্থায় সেখানে যারা আছেন, তাদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে হবে।
আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, কাবুলের পরিস্থিতি ভালো না। হামলার পর সবার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে সময় শেষ হওয়ার আগেই নাগরিকদের সেখান থেকে নিয়ে আসবো।
এদিকে নিজেদের ২৮ সদস্য নিহতের খবর জানিয়ে এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে তালেবান। এর আগে বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর এলাকায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে সকাল থেকেই নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে ব্যাহত হয় শরণার্থীদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া।