আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থানরত মার্কিন-ব্রিটিশ ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি হামলার ঝুঁকি থাকায় তাদের সরে যেতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া।
একই সঙ্গে অন্যান্য স্থানে থাকা নাগরিকদের বিমানবন্দরের উদ্দেশে না আসতেও সতর্ক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) রাতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নিরাপত্তা কাবুলে সতর্কতা জারি করার পর অস্ট্রেলিয়াও তাদের সঙ্গে সতর্কতা জারি করে।
অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনী কাবুলে প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার কাজ জোরেশোরে করছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়েছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) রাতেও ছয়টি অস্ট্রেলিয়ান ও একটি নিউজিল্যান্ড ফ্লাইটে এক হাজার ২০০ জন কাবুল ছেড়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, তালেবান কাবুল দখলের পর গত ১০ দিনে ৮২ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক হাজার হাজার আফগান এখনও বিমানবন্দরের বাইরে ও ভেতরে অপেক্ষা করছে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে জোরগতিতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলো।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবস্থানরত মার্কিনিদের অবিলম্বে সরে যেতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় সেখানে সন্ত্রাসী হামলার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ৩১ আগস্টের আগে বিদেশি ও আফগান নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগে কোনো বাধা না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান। তবে সেনা প্রত্যাহারের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে আতঙ্ক ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার হিড়িক। যুক্তরাষ্ট্রের হিসাব মতে, এখনো আফগানিস্তান ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। উত্তাল আফগানিস্তান থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া অব্যাহত রেখেছে মেক্সিকো, লিথুয়ানিয়াসহ বিভিন্ন দেশ।
আর ৩১ আগস্টের পরে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগের পর কাবুল বিমান বন্দরে তুর্কি সেনারা অবস্থান নেবে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট দপ্তর। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে তালেবানের পক্ষ থেকে তুরস্ককে অনুরোধ করা হয়েছে।