ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৮ কোটি লোক টিকার আওতায় আসবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

2090
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, নিউজগার্ডেন বিডি.কম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দেশের সাত থেকে আট কোটি লোককে টিকার আওতায় আনা যাবে। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রস্তাব অনুযায়ী, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের মোট সাড়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা কেনা হচ্ছে। এর বাইরে কোভ্যাক্সের সহায়তার আওতায় ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে। সেটাও চলমান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ওই সাড়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা ভর্তুকি রেটে কম দামে কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে পুরো প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে আছে সিনোফার্মের ৩ কোটি এবং সাড়ে ৭ কোটি সিনোভ্যাক। মোট সাড়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা কেনা হবে। সেটার অর্ডার দেওয়া হয়ে গেছে।

টিকার বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে আমরা ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়েছি, আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা হলে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে ভ্যাকসিনের খুব একটা অভাব থাকবে না; যদি সবাই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।

আমরা যদি ১৬ কোটি টিকা পেয়ে যাই, তাহলে ৮ কোটি লোককে টিকা দিতে পারব। এই টিকাগুলো ডিসেম্বরের মধ্যেই আসার কথা। আমরা মনে করি, আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের সাত থেকে আট কোটি লোককে টিকা দিতে পারব।’

এ মুহূর্তে গণটিকার কার্যক্রম করা হচ্ছে না বলে জানান মন্ত্রী। কারণ, সে পরিমাণ টিকা হাতে নেই। এ ছাড়া ‘গণ’ কথাটা হয়তো ভবিষ্যতে আর ব্যবহার করা হবে না। হাতে যখন যতটুকু টিকা আসবে, সেই টিকা যত মানুষকে দেওয়া যাবে, তত মানুষের কাছে বার্তা যাবে। তাঁরাই টিকা দিতে আসবেন।

জাহিদ মালেক জানান, করোনার টিকার প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজের সময় ১৫ বা ২০ দিন করা যায় কি না, প্রধানমন্ত্রী তা দেখতে বলেছেন। যদি সম্ভব হয়, সেটা করা হবে। বিভিন্ন দেশে ১৫ দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ দিচ্ছে। এখন কারিগরি কমিটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ করে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং তা টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে। কারখানার শ্রমিকদের টিকা দেওয়ার দাবি উঠেছে। টিকা পেলে সব শ্রমিককে দেওয়া হবে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন