আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আফগানিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রোববার (২২ আগস্ট) এক প্রশ্নের জবাবে গণমাধ্যমকে একথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে কাবুলের পরিস্থিতি। তালেবান তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করলে দেশটিতে উন্নয়নমূলক কাজ ও কানেক্টিভিটি বাড়ানোসহ মিশন খোলার ব্যাপারেও আশাবাদী ঢাকা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যে কয়জন বাংলাদেশি আফগানিস্তানে আটকে পড়েছেন, আমরা খুবই আশাবাদী শিগগিরই তারা বাংলাদেশে ফেরত আসতে পারবেন। আমরা ত্রিপক্ষীয় মাধ্যমে কিছু মানুষের সহায়তায় বেশ অনেক দুর এগিয়েছি। আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসতে পারবে। শুধু তাসখন্দ নয়, বিভিন্ন স্থান দিয়ে তাদের ফেরত আনা হবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তবে তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে ২৭ জনের সংখ্যা ঢাকাকে জানিয়েছে। ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে আফগানিস্তানের কর্মরত ৭ বাংলাদেশি টেলিকম প্রকৌশলী এখন কাবুলে রয়েছেন। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ৬ জন প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। কাবুলে মোট ১৮ বাংলাদেশির মত রয়েছেন। বাকিরা কাবুলের বাইরে অবস্থান করছেন।
আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিদেশি নাগরিকরা আফগানিস্তান ছাড়ছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকায় অনেকেই আটকা পড়েছেন। সব মিলিয়ে আফগানিস্তানের প্রায় ২৭ জন বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।