বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা সেনানিবাসে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দক্ষিণ সুদানের জুবায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ইউনিট এবং বাংলাদেশ মেরিন ফোর্সেস ইউনিট পরিদর্শন করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের নিবেদিত ও দক্ষ সেবার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। তিনি বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণকে একটি সুযোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিদেশে তুলে ধরা যায়। তিনি জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে বর্তমান সরকারের টেকসই ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
সরকার বিভিন্ন জাতিসংঘ মিশনে পুলিশ ইউনিটও পাঠিয়েছে যারা তাদের দক্ষতার মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে। শান্তিরক্ষীদের দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বের কারণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে বাংলাদেশ এখন সর্বাধিক সেনা অবদানকারী দেশ।
ড. মোমেন বলেন, সরকার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েনকে সহজ করেছে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা সেনানিবাসে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির পরামর্শও দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের সুবিধা বৃদ্ধির জন্য জাতিসংঘেও সরকার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এই মিশনে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টে পুরুষ শান্তিরক্ষীদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মহিলা শান্তিরক্ষী রয়েছেন।
ড. মোমেন দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ মিশনে বিভিন্ন দলে নিযুক্ত বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের সাথে দেখা করার পাশাপাশি দক্ষিণ সুদানের উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে সাক্ষাৎ করেন।